বিশ্বের এই ৬টি নিষিদ্ধ জায়গা আজও রহস্য !

এখনও পৃথিবীর এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে সাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। যা আজও রহস্য, সঠিক কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। মজার বিষয় হল এই জায়গাগুলি মানুষের মনে কৌতূহলের সঞ্চার করে, হাজার প্রশ্নের জন্ম দেয়, তবে তার উত্তর মেলা অসম্ভব প্রায়।

কোনওটি শস্যাধার, বায়ুসেনার ঘাঁটি কোনওটি আবার হাজার হাজার বছরের ইতিহাস বুকে আঁকড়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোথাও আবার বহু চেষ্টা করেও কোনওরকম পদক্ষেপ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসন ও সরকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।

উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ (North Sentinel Island) : এটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। এই দ্বীপ নিয়ে তেমন কোনও সুস্পষ্ট তথ্য কারও কাছে নেই। জানা গেছে, ৬০ হাজার বছর ধরে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন সেখানে বসবাস করছে। যারা জনজীবনের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন। ২০০৬ সালে একটি তথ্য সামনে আসে যা রীতিমতো চমকে দেয়। ২ জেলে নৌকাডুবির কবলে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু তারা আর ফেরেনি। সরকারের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও কোনও সুফল মেলেনি, তাই শেষমেশ দ্বীপটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

স্নেক আইল্যান্ড (Snake Island, Brazil) : বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দ্বীপগুলির মধ্যে একটি হল ব্রাজিলের এই স্নেক আইল্যান্ড। তাই মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ এখানে গেলে ফেরা মুশকিল। জানা গেছে, এখানে প্রতি বর্গমিটারে সাপের সন্ধান মেলে। এখানে রয়েছে গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার,যার ছোবলে মাংস পর্যন্ত গলে যায়।

এরিয়া ৫১ : এটি নেভাডায় অবস্থিত। এই সামরিক ঘাঁটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় জায়গা। এই মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটির ভিতরে কী হয়, তা কেউ জানে না। মজার বিষয় হল 2013 সাল পর্যন্ত এইরকম একটি জায়গার অস্তিত্বই স্বীকার করেনি মার্কিন সরকার।

চেরনোবিল, ইউক্রেন : ১৯৮৬ সালে এখানে একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। এর জেরে সৃষ্ট বিকিরণ পুরো এলাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অসংখ্য মানুষের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই বিকিরণ। জানা গেছে, অন্তত ২০ হাজার বছর এই অঞ্চলটি বসবাসের অযোগ্য থাকবে।

গ্লোবাল সিড ভল্ট : নরওয়ে ও উত্তর মেরুর মাঝখানে অবস্থিত এই সিড ভল্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শস্যাধার। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে,যা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও অক্ষত থাকবে। যদি ভয়াবহ কিছু ঘটে যায়, তবুও এখানে রক্ষিত ৮ লাখ ৯০ হাজার বীজ সুরক্ষিত থাকবে। দুর্যোগ পরবর্তী খাদ্যসংকটকে মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশাধিকার আছে । জনসাধারণের জন্য এটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

লেসকো গুহা: ১৯৪০ সালে এই গুহা থেকে প্রাগৈতিহাসিক যুগের চিত্রকর্মের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু পরের দিকে দর্শনার্থীদের নিঃশ্বাস থেকে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডের গুহাচিত্রগুলি নষ্ট করে দিচ্ছিল। তাই তড়িঘড়ি তা জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্য়ানেল- https://www.youtube.com/@NagarNama424

ফলো করুন ফেসবুক পেজ– https://www.facebook.com/nagarnamanews

ফলো করুন X হ্য়ান্ডেলে – https://twitter.com/nagarnama

Leave a Reply

Your email address will not be published.