সকালে তাপস-স্তুতি, বিকেলেই কুণালের পদ কাড়ল তৃণমূল; দর্শানো হল কারণও

কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানানো হয়। এদিন সকালেই উত্তর কলকাতায় ৩৮নং ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে সদ্য় তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেওয়া তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তারই পরিণামে বিকেলেই কি দলের এমন সিদ্ধান্ত? ইতিমধ্য়েই জোরচর্চা দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজ্য়সভার সাংসদ তথা তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের সই করা ওই বিবৃতিতে কুণাল ঘোষকে অপসারণের কারণও দর্শানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন কিছু মন্তব্য় করেছেন যা দলবিরোধী ও তাঁর একান্ত ব্য়ক্তিগত মতামত। দলের মুখপাত্র পদ থেকে আগেই সরানো হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। এবার তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও তাকে সরানো হল।’

আরও পড়ুন- তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে অনুপস্থিত, BJP প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুণাল ঘোষের, তবে কি…?

এনিয়ে বুধবার সন্ধেয় সংবাদসংস্থা ANI-কে কুণাল ঘোষ জানান, ‘এখনও পর্যন্ত কোনও অফিশিয়াল চিঠি মেইলে বা হোয়াটসঅ্য়াপে আসেনি। কিন্তু একটি প্রেস রিলিজ় দেখেছি। রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ তো আগেই ছেড়ে দিয়েছি। আমার অফিশিয়াল এক্স অ্য়াকাউন্ট থেকে সেই পরিচয়ও সরিয়ে দিয়েছি। এখন নতুন করে কেউ যদি বলে সরিয়ে দিয়েছে, তাহলে সেটা তো ঠিক না।’

সকালে রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার BJP প্রার্থী তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নিয়ে একাধিক বাক্য়স্তুতি করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কার্যত আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘তাপস রায় যতদিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, ততদিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। আমরা তাঁকে এক পরিবারে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য়, পারিনি।’ এরপর বিকেলে কুণালের পদ কাড়া নিয়ে BJP প্রার্থী তাপস রায় শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, ‘তৃণমূলে কি সৌজন্য়ের কোনও স্থান নেই? গণতন্ত্রের কথা বলব, অথচ সত্য় কথা বলা যাবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.