‘ভোটের সময়ই কেন?’ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে ED

আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই কেন গ্রেপ্তারি তা নিয়ে ইডির কাছে কৈফিয়ত তলব করল শীর্ষ আদালত। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় তাঁর গ্রেপ্তারিকে চ্য়ালেঞ্জ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার সেই মামলাতে ইডির আইনজীবীর উদ্দেশ্য়ে একাধিক প্রশ্ন ছুড়লেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।

বিচারবিভাগীয় নির্দেশাবলী না পড়েই কীভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হল, তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত চললেও কেন ভোটের মুখে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হল, তা নিয়ে সরাসরি ইডির কাউন্সেল অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বিচারপতিদ্বয় ইডির আইনজীবীকে স্মরণ করিয়ে দেন, ‘কোনও ব্য়ক্তির জীবন ও স্বাধীনতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ গোটা বিষয়ে মোট পাঁচটি প্রশ্ন তুলে শুক্রবারের মধ্য়ে ইডির কাছে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন- কোভিশিল্ডে জীবনের বড় ঝুঁকি! চাপের মুখে নতিস্বীকার অ্য়াস্ট্রাজেনেকার

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই একই মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারির সময় তদন্তকারীরা উপযুক্ত সাক্ষ্য়প্রমাণ পেয়েছিল বলে দাবি করে। কিন্তু কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির সময় সেরকম কোনও তথ্য়প্রমাণই সামনে আনা হয়নি। সেক্ষেত্রে কীভাবে কেজরিওয়াল আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে প্রমাণ করতে বলেন বিচারপতি খান্না।

আরও পড়ুন- T20 বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল BCCI,পন্থ খেললেও বাদ পড়লেন কে এল রাহুল

উল্লেখ্য়, গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তারির পর বিচারবিভাগীয় হেপাজতে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহাড় জেলে রাখা হয়। জেল থেকেই মুখ্য়মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। গ্রেপ্তারিকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে নিম্ন আদালতে ও দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। কিন্তু দু’জায়গাতেই ধাক্কা খেতে হয় আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলে গত ১৫ এপ্রিল কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে ইডিকে নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published.