কালপুরুষের দেশে পাড়ি দিলেন স্বয়ং স্রষ্টা
সোমবারের বিকেল। আর পাঁচটা দিনের মস্ত সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বাড়ি ফেরার তাড়াহুড়োয় ব্যস্ত শহর। দূরে কোনও গ্রামে তুলসী মঞ্চে পিদিম জ্বালতে ব্যস্ত কেউ। সূর্য তার কাজ সেরে পশ্চিমের দেশে ডুবছে। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত যেন সবকিছু থমকে গেল। খানিকটা অবাক করে আমাদের ছেড়ে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
দীর্ঘদিন রোগভোগের পর শেষমেশ লড়াই থামল। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে পৌনে ৬টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি জয়ী এই সাহিত্যিক। চিকিৎসকদের কথায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও ছিল । আর শেষরক্ষা হল না।
দৌড়। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস। সেই যাত্রা শুরু। অনিমেষ,মাধবীলতা, অর্জুনদের সঙ্গী করে একের পর এক কালজয়ী সৃষ্টি। উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণী, সাতকাহন, তেরো পার্বণ, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অগ্নিরথ। এক একটি সৃষ্টি যেন সাহিত্যের দলিল হয়ে রয়ে গেল। বলাবাহুল্য, তৎকালীন সময় দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল তাঁর লেখা উত্তরাধিকার।
শিশু-কৈশোর উপন্যাস থেকে বড়দের উপন্যাস। সবেতেই অবাধ বিচরণ ছিল তাঁর। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে কালবেলা উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অ্যাকেডেমি পেয়েছিলেন সমরেশ মজুমদার।