কোভিশিল্ডে জীবনের বড় ঝুঁকি! চাপের মুখে নতিস্বীকার অ্য়াস্ট্রাজেনেকার

করোনা ঠেকাতে নেওয়া কোভিশিল্ড টিকায় রয়েছে বড় ঝুঁকি। দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিরল রোগ দেখা দিতে পারে এই টিকার ডোজে। টিকাকরণের প্রায় বছর তিনেক বাদে আদালতে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্য়াস্ট্রাজেনেকা। সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থানে হেঁটে তারা জানায়, কোভিশিল্ডের ব্য়বহারে দেহে রক্ত জমাট বাঁধা থেকে কমে যেতে পারে অনুচক্রিকার পরিমাণও।

অতিমারীর সময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহযোগিতায় ব্রিটিশ ফার্মা কোম্পানি অ্য়াস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড টিকা প্রস্তুত করে। ভারতে এই টিকা উৎপাদন করে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই টিকা নেন। কিন্তু ব্রিটেনে কার্যত জনরোষের মুখে পড়ে সংস্থাটি। কোভিশিল্ডের টিকাকরণে মৃত্য়ু ও একাধিক রোগের দেখা দিচ্ছে বলে দাবির করা হয় কমপক্ষে ৫১ জন রোগীর তরফে। স্রেফ তাই নয়, ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে অ্য়াস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তোলা হয়।

আরও পড়ুন: আপনিও কি দীর্ঘ সময় বসে থাকেন? জেনে নিন শরীরে এর প্রভাব ও প্রতিকার

মামলার প্রথম অভিযোগকারী জেমি স্কট জানান, ২০২১ সালের এপ্রিলে ওই টিকা নেওয়ার ফলে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এমনকি তিন তিনবার মৃত্য়ুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। যদিও অ্য়াস্ট্রাজেনেকার তরফে দাবি করা হয়, কোভিশিল্ডের ব্য়বহারে টিটিএস অর্থাৎ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ফলে রক্ত জমাট বাঁধা ও অনুচক্রিকার পরিমাণ কম হওয়ার ঘটনা বিরলতম। অবশ্য়, ২০২৩-র সেই দাবিতে টিকে থাকতে পারল না অ্য়াস্ট্রাজেনেকা। ২০২৪-এ আদালতে প্রশ্নের মুখে রীতিমতো ইউটার্ন নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকারই করে নিল সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.