প্রয়াত পারভেজ মোশারফ

দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। শেষমেশ লড়াই শেষ। দুবাইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যু হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে দুবাইতে ছিলেন মোশারফ। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আজ বিদায় নিলেন পাকিস্তানের এই বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট। তবে দুবাই থেকে তাঁর মরদেহ পাকিস্তানে আনা হবে কি না, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বলা বাহুল্য, পাকিস্তানের রাজনীতিতে এক অধ্যায়ের অবসান।

তৎকালীন দিল্লিতে ১৯৪৩ সালে জন্মেছিলেন মোশারফ। দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে আসেন। দু’য়ের দশকে পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বেনজির ভুট্টো হত্যা হোক বা সংবিধান বাতিল। নানা ইশুতে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে পারভেজ মোশারফের নাম। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। পরে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৬ সালে চিকিৎসার জন্য দুবাই চলে যান তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোশারফকে ফাঁসির আদেশ দেয় পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত।

না দুবাই থেকে আর দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। এবার আর সব সম্ভাবনারও ইতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.