চকেই চমৎকার
বলিউড অভিনেতা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেনার দল। চক দিয়েই আস্ত এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন চণ্ডীগড়ের এই শিক্ষক। হ্যাঁ চক। চকের গায়ে আঁকিবুকি কেটে আজ তিনি খ্যাতির শিখরে। আসুন আলাপ করা যাক চকের তৈরি এই চরিত্রগুলি ও তার নেপথ্যের কারিগরের সঙ্গে।
বলরাজ সিং। চণ্ডীগড়ের এক সরকারি স্কুলে ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষক তিনি। কয়েক বছর আগের ঘটনা। ছেলে-মেয়েদের খেলাধূলা-শরীরচর্চা করানোর পাশাপাশি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন বলরাজ। একদিন ক্লাসের ফাঁকে নিজের ডেস্কে বসেছিলেন। সামনের টেবিলে একটি চক পড়েছিল। বসতে বসতে পেন দিয়ে ওই চকের গায়ে দাগ কেটে কিছু একটা তৈরি করার চেষ্টা করেন। দীর্ঘক্ষণের পর একটা অবয়ব গড়ে ওঠে। তড়িঘড়ি সহকর্মীদের দেখান বলরাজ। সকলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সেই শুরু। চকের গায়ে নিপুণতার সঙ্গে খোদাই করে নানা ধরনের অবয়ব দিতে থাকেন বলরাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেনের বদলে খোদাই করার জন্য সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়। চোখ, মুখ, চুল স্পষ্ট করার জন্য রং-তুলির ব্যবহারও শুরু করেন বলরাজ। আর ছোট্ট চকের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে মহাপুরুষ, রাজনীতিবিদ, সেনা, অভিনেতা, রং বেরঙের ফুল সহ নানা জিনিস। শুরুর দিকে প্রচুর ভুল-ত্রুটি হয়। কিন্তু এই ভুলগুলোই আরও পরিণত করে তোলে বলরাজকে।
অবসরে যে কাজের জন্ম হয়েছিল, আজ সেটাই বলরাজের সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩০০ ক্যারিকেচার তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। এত ছোটো জিনিসের উপর নিখুঁত এই শিল্প গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বলরাজের কথায়, চকের গায়ে একটা অবয়ব তৈরি করতে ৫-৭ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তবে এই সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি।