আইসক্রিম খাওয়াকেও পড়াশুনার পাঠ করা হোক, সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের
বাচ্চাকে আইসক্রিম খেতে বারণ করছেন? কিন্তু জানেন আইসক্রিম খাওয়াকেও পড়াশুনার পাঠ করার সুপারিশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুনে চমকে যাচ্ছেন নাকি!
ঠিকই শুনছেন। সম্প্রতি, রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি (Royal Society of Chemistry), দ্য ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স (The institute of physics), রয়্যাল সোসাইটি অফ বায়োলজি (Royal Society of Biology) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর সায়েন্স এডুকেশন (Association for Science) নামের চারটি বৈজ্ঞানিক সংস্থা একটি পেপার প্রকাশ করে বিষয়টি জানিয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলির প্রতি ভয় কমানো ও সেগুলোকে সহজে বাচ্চাদের বোঝানোর জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রচলিত পাঠ্যক্রমে কিছু সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, আইসক্রিম খাওয়া, গাছ লাগানো, খেলাধুলা করা, মাটি খোড়া, নার্সারীতে ঘুরতে যাওয়া, রিসাইক্লিং ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মতো প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ৩ থেকে ১১ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য অপরিহার্য। এইসব অভিজ্ঞতা বাচ্চাদেরকে পরবর্তীকালের জটিল পড়াশুনার ভিত তৈরী করবে।সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী যেসব শিশুদের হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা কম তারা নিশ্চিতভাবে প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য এগুলিকে স্কুলের পড়াশুনার অঙ্গ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে তারা।
অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুল এন্ড কলেজ লিডারসের জেনারেল সেক্রেটারি পেপে ডি’লাসিও (Pepe Di’Iasio) র মতে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়কে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযোগ করতে পারলে বাচ্চারা সহজেই সেগুলি শিখতে পারবে।
এপ্রসঙ্গে রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রির একজন শিক্ষক ও শিক্ষানীতি বিশেষজ্ঞ আইলিন ওজকানের (Aylin Ozkan) শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ, “১১ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত বাচ্চাদেরকে শেখানো উচিত তাপমাত্রা কিভাবে কাজ করে, কিভাবে জিনিস ঠান্ডা হয় বা গরম হয়। সেটা শেখানোর জন্য আইসক্রিমের থেকে ভালো বস্তু কি হতে পারে? এটি একটি সহজ উপায়। যার ফলে বাচ্চাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বাড়বে, তাতে তারা পরে যে ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়েই পড়ুক না কেন।”
রয়্যাল সোসাইটি অফ বায়োলজির শিক্ষানীতি বিভাগের প্রধান লরেন ম্যাকলিওড (Lauren McLeod) বলেন, “আমরা চাই বাচ্চারা তাদের আশেপাশের জগৎকে জানতে ও বুঝতে শিখুক। শিক্ষকরা যাতে দৈনন্দিন কার্যক্রমের মধ্যে বিজ্ঞানকে নিয়ে আসেন সে বিষয়ে সচেতন করা দরকার।”