পাহাড়ের কোলে মেঘেদের সঙ্গে গল্প জমে উঠুক, ঘুরে আসুন লামাহাট্টা
পাহাড়ের কোলে ইকো-ট্যুরিজম। দিন কয়েক কোথাও হারানোর ইচ্ছে করলে, গন্তব্য় হতে পারে লামাহাট্টা। পাহাড়, জঙ্গল আর এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা।
দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। পাইন আর ধুপি গাছের জঙ্গলে ঘেরা। সকাল শুরু হোক লামাহাট্টার সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে পাইনের ভিড়ে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যও প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে। এখানকার নানা রঙ বেরঙের ফুল আপনার মন ভালো করে দেবে। সকালটা তাদের সঙ্গে গল্প করে কেটে যাবে। ইচ্ছে হলে ট্রেকিংও করা যেতে পারে। টানা বারান্দায় পাইনের সারি, জঙ্গল দেখে কাপের চা ফুরোলেই বেরিয়ে পড়ুন।
নিচের জঙ্গলের আড়ালে থাকা বৌদ্ধ মঠের মৃদু মন্ত্রকে অনুসরণ করে হারিয়ে যান এখানেই কোথাও। পেশক রোডের ধারে প্রাচীন ছোট্ট এই গ্রামে মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লামা, ডুকপা, শেরপাদের বসবাস। তাদের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখুন। সূর্য মাঝ আকাশেই পৌঁছালেই জমিয়ে পেটপুজো হোক। মাঝে মাঝে এখানে বৃষ্টি নামে। কপাল ভালো থাকলে বৃষ্টিভেজা দুপুরের সাক্ষীও হতে পারেন। একটু জিরিয়ে নিয়ে পড়ন্ত দুপুরে ইকো পার্ক ঘুরে আসা যেতে পারে। এখানে নানা রঙের বৌদ্ধদের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ সাজানো রয়েছে। এক অদ্ভুত সৌন্দর্য। সন্ধ্যার পর জঙ্গলের নিস্তব্ধতা উপভোগ করুন। লামাহাট্টার সৌন্দর্যের পাশাপাশি লামাহাট্টা মনাস্ট্রি, তিস্তা ত্রিবেণী, তাকদা অর্কিড সেন্টার, রাংলিয়ট টি এস্টেট, পেশক ভিউ পয়েন্ট ঘুরে আসা যেতে পারে।
যাত্রাপথ
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে লামাহাট্টার দূরত্ব প্রায় ৮০ কিমি। স্টেশন থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে গন্তব্যে রওনা দেওয়া যেতে পারে। হাজার চারেক টাকার মধ্যে গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। তবে ভাড়া বেশিও হতে পারে।
ঠাঁই
থাকার জন্য লজ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া, বনফায়ার সমস্তকিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। খুব একটা অসুবিধা হবে না। শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। ডাবল বেডরুমের খরচ ৫০০০ টাকার মধ্যে। এই টাকার মধ্যেই সকাল, দুপুর, বিকেলের টিফিন ও রাতের খাবার পাওয়া যাবে। তাই আর দেরি না করে ব্যাগ গোছানো শুরু করে দিন।