যেন এক আস্ত ক্য়ানভাস, দিন কাটুক খোয়াব গাঁয়ের মেঠো পথে

গ্রাম নয় একটা আস্ত ক্যানভাস। শাল, শিমুল, আকাশমণির জঙ্গলের মাঝে একের পর এক চিত্রপট। গ্রামটার আসল নাম লালবাজার। তবে তুলির টানে হয়ে উঠেছে খোয়াব গাঁ। খড়, টালির ছাদ আর মাটির দেওয়াল জুড়ে নানা জীবনকথা। শহর থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে এবারের বসন্তের দিন কাটুক খোয়াব গাঁর অলিগলিতে।

ঝাড়গ্রামের মেইন রোড ছেড়ে জঙ্গলের দিকে রাস্তা। একদম শেষ প্রান্তে খোয়াব গাঁ। ১৩ টি’র বেশি লোধা-শবর উপজাতি নিয়ে এই ছোট্ট গ্রাম। পর্যটন শিল্পের টুকটাক উপার্জনের পাশাপাশি মাছ ধরা, কাজুবাদাম সংগ্রহ সহ একাধিক ছোটোখাটো কাজই গ্রামবাসীর জীবিকা। অনেকে আবার জঙ্গলের গাছ কেটে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেউ কেউ ক্ষেতমজুরি করে ভাত জোগাড় করেন। তবে এখন গোটা গ্রামের চেহারাই বদলে গিয়েছে। সৌজন্যে কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীরা এবং এখানকার মানুষজন। এক্ষেত্রে শুধু দেওয়ালে আঁকাআঁকি নয় বাঁশ কাঠের তৈরি নানা রকম মুখোশও নজর কাড়বে।

তবে দিনের রং বেরঙের চিত্রপট, নীল আকাশ, শিমুল মহুয়া পেরিয়ে রাতের খোয়াব গাঁ এক অন্য বেশে সেজে ওঠে। এদিক ওদিক শুকনো শালপাতা ছড়ানো লাল কাঁকুরে মাটির এই গ্রাম পূর্ণিমায় অপরূপ সুন্দর হয়ে ওঠে। ভাগ্য ভালো থাকলে মাদলের তালে আদিবাসীদের নৃত্যও দেখতে পাবেন। দেওয়ালের পর দেওয়াল জুড়ে দুর্গাপট, মনসা মঙ্গলের পট, কৃষ্ণলীলা আরও কত কী। তাই সুযোগ বুঝে হারিয়ে যান খোয়াব গাঁয়ের এই মেঠো পথে।

ঠাঁই : থাকার জন্য একাধিক হোটেল ও লজ রয়েছে। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, PWD বাংলো,ফরেস্ট বাংলো থেকে শুরু করে একাধিক গেস্ট হাউজ রয়েছে।

যাত্রাপথ : হাওড়া স্টেশন থেকে ইস্পাত এক্সপ্রেস, শালিমার স্টেশন থেকে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাসেও যাতায়াত করা যাবে। এক্ষেত্রে ধর্মতলা থেকে সরাসরি বাস পরিষেবাও আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.