নারী সুরক্ষায় পিছিয়ে কোন কোন দেশ, রইল তালিকা
আর জি কর থেকে অসম। মহারাষ্ট্র থেকে কেরালা। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে জারি প্রতিবাদ – বিক্ষোভ। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দিনের পর দিন সরব হচ্ছে সুশীল সমাজ। কিন্তু জানেন কি সমগ্র বিশ্বে নারী নির্যাতনের বর্তমান চিত্রটা কেমন ?
রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭৩৬ মিলিয়ন মহিলা তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন। এর সমাধান সন্ধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলছে, মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি সাহায্য বরাদ্দ থাকে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের জন্য। এগুলি প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয় ০.২ শতাংশেরও কম কিছু অনুদান।
বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনা জানাচ্ছে, কোন কোন দেশ নারী নির্যাতনে শীর্ষস্থানে। দেখে নিন এক নজরে:
১) সর্বোচ্চ স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানকার মাত্র ২৫ শতাংশ মহিলা জানাচ্ছেন যে তারা রাতের রাস্তায় সুরক্ষিত মনে করেন নিজেদের। যৌন নির্যাতনে কুখ্যাত এই দেশে নারী হত্যার পরিসংখ্যানও উল্লেখযোগ্য।
২) এর পরের দেশটি ব্রাজিল। এখানে সুরক্ষিত নারীদের সংখ্যা মাত্র ২৮ শতাংশ। নারী হত্যায় এই দেশ তিন নম্বরে, দ্বিতীয়তে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়াতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণেও লাগাম টানা রয়েছে।
৩) মহিলাদের জন্য চতুর্থ সবথেকে বিপজ্জনক দেশ মেক্সিকো, নারী হত্যায়ও চতুর্থ। এখানকার সড়কে সুরক্ষিত নারীরা সংখ্যায় মাত্র ৩৩ শতাংশ। এর পাশাপশি, ইরানের লিঙ্গ বৈষম্যতা সর্ববৃহৎ। অর্থনীতিতে, শিক্ষা অর্জনে, স্বাস্থ্যে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ইরানের মহিলারা একেবারেই পিছিয়ে।
৪) এরপরের দেশটি ডমিনিকান রিপাবলিক। এখানকার মাত্র ৩৩ শতাংশ মহিলা সুরক্ষিত। ইজিপ্টকেও মহিলাদের জন্য অসুরক্ষিত বলে গণ্য করা হয়েছে। এখানে লিঙ্গ বৈষম্যের পরিমাণ যেমন অত্যাধিক সেরকমই সামাজিক-অর্থনৈতিক নানা ক্ষেত্রে মহিলারা পিছিয়ে রয়েছে।
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল-https://www.youtube.com/@NagarNama42
ফলো করুন ফেসবুক পেজ-https://www.facebook.com/nagarnamanews