“কুস্তির কাছে আমি হেরে গেছি” অবসর ঘোষণা বিনেশ ফোগাটের
“মা, কুস্তির কাছে আমি হেরে গেছি” প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এভাবেই কুস্তি থেকে বিদায় নিলেন বিনেশ ফোগাট।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের X হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ” মা, কুস্তির কাছে আমি হেরে গেছি। তোমার স্বপ্ন, আমার সাহস সব শেষ হয়ে গেছে। আর কোনো শক্তি নেই। কুস্তি তোমাকে বিদায় ২০০১-২০২৪। আপনাদের সকলের কাছে আমি ঋণী। ক্ষমা করে দেবেন।”
বুধবার ৭ আগস্ট রাতে আমেরিকার সারা হিলডেব্রান্টের বিরুদ্ধে লড়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এদিন সকালে ওজন মাপলে দেখা যায়, ৫০ কেজির থেকে মাত্র ১০০ গ্রাম বেশি হচ্ছে আর তাই প্রতিযোগিতা থেকেই বাদ দেওয়া হয় তাঁকে।
বুধবার ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, কুস্তির ৫০ কেজির ফাইনাল থেকে ভীনেশ ফোগাটকে বাদ দেওয়া হয় হয়েছে। সারারাত ধরে অনেক চেষ্টা করা হলেও সকালে তার ওজন ৫০ কেজির চেয়ে কিছু বেশি হয়। ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে এবিষয়ে এখনি আর কিছু জানানো যাচ্ছে না।”
বুধবার এই সিদ্ধান্তের খবর এলেই বিনেশের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার কাছে আবেদন করে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা। রুপোর আবেদনও করা হয়। কিন্তু united world wrestling এর সভাপতি নেনাদ লালোভিচ স্পষ্টই জানিয়ে দেন, “নিয়ম সবার জন্যই এক। আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু সকলের সামনেই সব কিছু হয়েছে। অন্য খেলোয়াড়রাও সেখানে উপস্থিত ছিল। তার মধ্যেই নিয়ম মানতে ব্যর্থ একজনকে কিভাবে অনুমতি দেওয়া যায়?”
রুপোর পদক দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এভাবে পদক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওজনের জন্য অন্য ক্যাটাগরিতে চলে যাচ্ছে। ভারত এবিষয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু তাতে কিছু করা সম্ভব নয়।”
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে রূপো দেওয়ার দাবিতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত the Court of Arbitration for Sport (CAS)- এ মামলা করেছেন বিনেশ। আজ তার রায় জানানো হবে। কিন্তু তাঁর আগেই অবসর ঘোষণা করলেন তিনি।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের সোনা জয়ী জাপানের ইউই সাকিকে হারিয়ে সকলকে অবাক করে দেন বিনেশ। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনের ওকসানা লিভাচকে ৭-৫ পয়েন্টে এবং সেমি ফাইনালে কিউবার গুজ়মান লোপেজ়কে হারিয়ে ভারতের প্রথম মহিলা হিসাবে কুস্তির ফাইনালে ওঠেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
বিনেশ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ হয়ে পড়ার পর তাঁর কাছে হেরে যাওয়া কিউবান কুস্তিগীর গুজমান লোপেজের সঙ্গে লড়েন আমেরিকার সারা হিলডেব্রান্ট। লড়াইতে গুজমানকে হারিয়ে সোনা জিতে নেন সারা।