প্রয়াত বিক্রম গোখলে
সমস্ত লড়াই শেষ। বিদায় নিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা বিক্রম গোখলে। বলিউড ও মারাঠি সিনেমা হারাল এক অনবদ্য প্রতিভাকে।
অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবরের জেরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরের দিকে সেই জটও কাটে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। সেদিন মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনও লড়ে চলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। গতকাল শরীর একটু ঠিক হলেও, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, ধীরে ধীরে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হচ্ছে। শেষমেশ আজ লড়াই থামল। পুণের এক হাসপাতালে মৃত্যু হল বিক্রম গোখলের।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনার ক্ষেত্রেও দখল ছিল। থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ছোটো থেকেই অভিনয়ের জগতে বেড়ে ওঠা। বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলে ছিলেন বিখ্যাত মারাঠি থিয়েটার ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। উল্লেখ্য, প্রয়াত অভিনেতার প্রপ্রিতামহী দুর্গাবাই কামাথ ছিলেন ভারতীয় সিনেমার প্রথম অভিনেত্রী। তাই অভিনয় তাঁর রক্তে ছিল। ২০১০ সালে আঘাত সিনেমার মধ্য দিয়ে মারাঠি চলচ্চিত্রে ডেবিউ করেন। ২০১৩ সালে মারাঠি সিনেমা অনুমতির জন্য জাতীয় পুরস্কার জেতেন। বলাবাহুল্য, গোটা একটা প্রজন্ম হাম দিল দে চুকে সানাম, হে রাম, ভুল ভুলাইয়া, রং রসিয়া, আব তক ছাপান্ন ২, নট সম্রাট, মিশন মঙ্গল সহ একাধিক সিনেমায় বারবার তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে। শুধু সিনেমা, থিয়েটার নয়। টেলিভিশনেও দেখা গেছে তাঁকে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গলায় সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাধ্য হয়ে থিয়েটারকে বিদায় জানাতে হয়। দিন কয়েক আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি ছিলেন হাসাপাতালে। শেষমেশ বিদায় নিলেন।