খবররাজ্য

আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা

চোখে -মুখে রক্ত। বাঁ পা,পেট,হাত,ঘাড়-সহ দেহে ১১টির বেশি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। ধর্ষণ করে খুন। খুনের পর ফের ধর্ষণ। আর জি করের তরণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত গোটা দেশ।

ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে সে। তবে নেই কোনও অপরাধবোধ। শুক্রবার ভোরে তাকে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট তিনি ভিতরে ছিলেন। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। পরে বেরিয়ে যান এবং মদ খেয়ে ভোরের দিকে আবার হাসপাতালে ঢোকেন। ব্লুটুথ হেডফোনের ছেঁড়া অংশের সূত্রেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে,ধৃতের মোবাইল ফোনে রাখা ছিল পর্নোগ্রাফির বহু ভিডিয়ো। প্রাথমিক অনুমান,তার মানসিক বিকৃতিও রয়েছে। ধৃতকে ৪ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে CBI তদন্তেও রাজি আছেন তিনি। এদিকে দেশজুড়ে ধর্মঘটের পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পথে নামে কলকাতার সুশীল সমাজ। অন্যদিকে আর জি করের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার সময় SFI, DYFI-সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এই অস্থির পরিস্থিতিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এর আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিক্যাল সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *