দু’সপ্তাহের বেশি টানা জিজ্ঞাসাবাদ, আর জি কর কাণ্ডে শেষমেশ গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘোষ
শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। ৯ আগস্ট আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দেহের তীর ছিল অধ্যক্ষ সন্দীপের দিকে। ১৬ আগস্ট শুরু হয় সিবিআইয়ের জেরা। সেইসূত্রেই আজ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজ়াম প্যালেসে। পরে জানানো হয়,গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দীপকে।
আর জি করের নৃশংস ঘটনার পর আন্দোলনের চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে হয় সন্দীপকে। এমন একটি ভয়াবহ ঘটনায় তাঁর পদক্ষেপ ও ভূমিকা নিয়েও একের পর এক প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর তলব করা হয় সন্দীপকে। এরপর চলতে থাকে দিনের পর দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদ। দৈনিক ১০-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁকে সিবিআইয়ের দপ্তরেই থাকতে হত।
২৫ তারিখ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। বাড়িতেই চলে জেরা। এই তদন্ত চলাকালীন একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। সেমিনার হলের পাশের একটি ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলা, মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়া, হাসপাতালের জৈব বর্জ্য সহ নানা ক্ষেত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এমনকী আর জি কর থেকে পদত্যাগের পর তাঁকে তড়িঘড়ি অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় রাজ্য় সরকারকে। আপাতত সিবিআই হেপাজতে সন্দীপ। অভয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া এখনও সময়ের অপেক্ষা।