এক ছোবলেই মৃত্যু, রইল বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের তালিকা
কেউ ছোবল মারলে মৃত্যু শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেউ মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায় না। কিন্তু এক ছোবলেই পেশী অবশ করে দেয়। ফুসফুস কাজ করা বন্ধ করে দেয়। জেনে নিন, বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলিকে। রইল তালিকা।
ইনল্যান্ড তাইপান (Inland Taipan)
পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত সাপ। অস্ট্রেলিয়ায় এর আধিপত্য় রয়েছে। সাধারণত মানুষের কাছে যেতে চায় না। তবে ছোবল মারলে মৃত্য়ু অবধারিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাপের এক কামড়ে ১২ হাজার গিনিপিগের মৃত্যুর মতো বিষ থাকে। স্থলভাগে এর মতো বিষাক্ত সাপ পাওয়া মুশকিল। এক ছোবলে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ ঢেলে দিতে পারে ইনল্যান্ড তাইপান। এগুলি সাধারণত ১.৮- ৩.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
ব্ল্যাক মাম্বা (Black mamba)
বিশ্বের অন্য়তম দ্রুতগামী সাপ। প্রতি ছোবলে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ ঢালতে পারে। যা ২০-২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
রাসেলস ভাইপার (Russell’s Viper)
স্থলভাগের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে। তবে এর ছোবলে বাঁচা অসম্ভব। সাধারণত ১-১.৫ মিটার লম্বা হয়। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় এই সাপের ছোবলে প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। এর ছোবলে কিডনি বিকল হয়ে যায়। ধীরে ধীরে একাধিক অঙ্গ-প্রত্য়ঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
স-স্কেলড ভাইপার (Saw-Scaled Viper)
ত্বকে এক ধরনের আঁশ থাকে। সেই আঁশের ঝাঁকানির এক আলাদা শব্দ রয়েছে। এই সাপের ছোবলে শরীরের ভিতর রক্তপাত শুরু হয়। কিডনি ফেল করে। অ্যান্টিভেনম রয়েছে। তবে যথাসময়ে দিতে না পারলে বাঁচানো অসম্ভব।
কিং কোবরা (King Cobra)
পৃথিবীর দীর্ঘতম বিষধর সাপ। এর দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ছোবলের সময় যতটা সম্ভব বেশি বিষ ঢেলে দেয়। সাধারণত গভীর জঙ্গলেই থাকে। শরীরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাটির উপরে তুলতে পারে কিং কোবরা। এক ছোবলে প্রায় ৭ মিলিলিটার বিষ থাকে। ছোবলের প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যেই একটি বড় হাতিকে মেরে ফেলতে পারে।
ব্যান্ডেড ক্রেইট (Banded Krait)
স্থলভাগের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। এশিয়াতেই পাওয়া যায় এই সাপ। সাধারণত ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
মূলত রাতের বেলায় বের হয়। অধিকাংশ সময় লুকিয়ে থাকা এই ধরনের সাপের অভ্যেস। এদের ছোবলে পেশী অবশ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ফুসফুস কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে শ্বাসকষ্টে মারা যায় মানুষজন।
বুমস্লাং (Boomslang)
দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যায়। গ্রিন ট্রি স্নেকও বলা হয়। ছোবল মারার সঙ্গে চোখ, ফুসফুস, কিডনি এমনকি মস্তিষ্ক থেকেও রক্তপাত শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত।
অলিভ সী স্নেক (olive sea snake)
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এই সাপের দেখা পাওয়া যায়। এমনিতে লাজুক প্রকৃতির। জেলেদের জালে প্রায়ই ধরা পড়ে। তবে এক ছোবলে মানুষ মারার ক্ষমতা রয়েছে।
গাবুন ভাইপার (Gaboon viper)
গাবুন হেডার নামেও পরিচিত। আফ্রিকার বৃষ্টিচ্ছায় অরণ্যে এই সাপ দেখা যায়। ৪-৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন ৮-৯ কেজির মধ্যে। এক ছোবলেই অনেকটা বিষ ঢেলে দেয়
ইস্টার্ন ডায়মন্ডব্যাক (eastern diamondback)
পিট ভাইপার প্রজাতির সাপ। দক্ষিণ-পূর্ব অ্যামেরিকায় দেখা যায়। অত্যন্ত বিষধর সাপ। লম্বায় ২.৪ মিটার ও ওজনে ১৫ কেজির কাছাকাছি হতে পারে।