খবরসফরনামা

কলকাতা থেকে খুব কাছেই, শীতের দুপুর কাটুক টায়ার হাউজ়ে

রোজকার ব্যস্ততা, কোলাহল থেকে ছুটি নিয়ে একটু নির্জনতার স্বাদ পেতে পাড়ি দেওয়া যেতে পারে টায়ার হাউজ়ে। টায়ার হাউজ়। শহরের খুব কাছেই সবুজে ঘেরা এক শান্তির নীড়। আসুন ঘুরে আসা যাক দ্বারহাটার টায়ার হাউজ়ে।

দ্বারহাটা ইকো রিসর্ট। দ্বারহাট্টা গ্রামে টায়ার ও মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে এক দারুণ থাকার জায়গা। আশপাশে সবুজের প্রান্তর, জলাশয়, সবজির বাগান, নারকেল গাছের সারি আর দারুণ এক নিস্তব্ধতা। একাংশের কথা এটি দেশের প্রথম টায়ার হাউজ়। তাই সেই বিষয়টিরও সাক্ষী হওয়া যেতে পারে। ঘরের দেওয়ালেও নানা ধরনের আল্পনা ও ছবি আঁকা রয়েছে। জায়গাটির সঙ্গে সুদীর্ঘ ইতিহাসও জড়িয়ে রয়েছে। এখানে রয়েছে ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরী হওয়া রাজরাজেশ্বর মন্দির। রয়েছে সুপ্রাচীন দ্বারিকাচণ্ডী মন্দির। মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ নজর কাড়বে। বিশেষ করে আঁটপুরে টেরাকোটার অনেক মন্দির রয়েছে। এই আঁটপুর অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এখানেই রয়েছে জমিদার কৃষ্ণরাম মিত্রের তৈরি রাধাগোবিন্দ মন্দির। পাশাপাশি রাসমঞ্চ ও বেশ কয়েকটি আটচালা মন্দির রয়েছে। শোনা যায়, এখানেই স্বামীজি সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠও রয়েছে। মঠের পরিবেশ মুগ্ধ করবে আপনাকে।

গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কানা দামোদর। দামোদরের গতিমুখ পরিবর্তনের জেরেই এই নাম। খুব ইচ্ছে করলে দামোদরের চর থেকেও ঘুরে আসা যায়। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। তাই সুযোগ করে টায়ার হাউজ়ে একটা রাত কাটিয়ে আসুন।

যাত্রাপথ

নিজস্ব গাড়ি বা বাইক করে যাওয়া যায়। ডানলপ থেকে ২৬ নম্বর বাস ধরে গজার মোড়ে নেমে সেখান থেকে অটো করে যাওয়া যায়। দক্ষিণেশ্বর-ডানকুনি থেকে বাঁ দিক নিয়ে জনাই হয়ে পৌঁছানো যায় গন্তব্যে।

ঠাঁই

মাথাগোঁজার সুব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা ও রাতে টিফিনের পাশাপাশি ভরপেট খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিশয্যা, তিন শয্যা ও চার শয্যার ঘর রয়েছে। দাম ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ভাতের সঙ্গে সুক্ত, ডাল, বকফুল ভাজা সহ মাছ মাংস সুস্বাদু সমস্ত খাবার পাওয়া যাবে। কেউ চাইলে একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *