তরুণ প্রার্থী, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ; তবুও কেন ঝুলি শূন্য বামেদের ?
প্রতিবার নতুন আশা, প্রচারে বাঁধভাঙা ভিড়-উচ্ছ্বাস। কিন্তু ফলাফলের তালিকায় সেই আবার নিচের দিকে বামফ্রন্ট। ৩৪ বছরের ক্ষমতা হারিয়ে বারবার ফিরে আসার চেষ্টা। কিন্তু সবুজ ঝড়ে বারবার কার্যত কোণঠাসা হয়ে চলেছে একসময়ের শাসক দল। একুশের নির্বাচনে বামশূন্য বিধানসভার সাক্ষী হয়ে যে কাটা দাগ দেখা গেছিল, তাতেই যেন এবারের ফলাফল নুনের ছিটে। ফেরার গান গেয়েও তিলোত্তমার মোড়ে মোড়ে পার্টি অফিসগুলিতে যেন বিষাদের সুর। কিন্তু কেন ? ভাতের দাবির কাছে কেনই বা বড় হয়ে উঠল ভাতার লোভ ? সেই উত্তর বোধহয় সময়ের অতলে লুকিয়ে।
সেলিম থেকে সৃজন কিংবা দীপ্সিতা। ভোটের ফলাফল যেন সব অঙ্ক বদলে দিল। হেভিওয়েট নেতা, ব্যাপক জনপ্রিয়তা সবই শেষ সবুজ ঝড়ের সামনে। চাকরি, কয়লা, শিক্ষা থেকে নানা দুর্নীতি, অপশাসনের ইস্যুকে সামনে এনেও বঙ্গবাসীর মন জিততে কার্যত অসফল বাম ব্রিগেড। রাজনৈতিক সমালোচকদের একাংশ বামেদের পুরোনো মুখ ধরে রাখা, খোলস ছেড়ে বেরিয়ে না আসাই দায়ী এর জন্য। এতদিনে একটু-আধটু হুঁশ ফিরলেও কোথাও যেন বড্ড দেরি হয়ে গেল। কেউ কেউ বলেছেন বামেদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। নতুন মুখ নেই। বোধহয় এইজন্য ফলাফলের খাতায় থার্ড বয় থেকে গেল বামেরা।
আরও পড়ুন : অধরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা, মোদির গ্যারান্টি কি এখন নীতিশ-নায়ডুর হাতে ?
এবারের প্রচারে যদিও AI জেনারেটেড বুদ্ধবাবুর বার্তা, তরুণ প্রার্থীদের চমক দেখা গেছিল। নির্বাচনী বন্ড, কর্পোরেটদের তোষণ এবং নোটবন্দির মতো প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে এরাজ্যর দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সৃজন-দীপ্সিতারা। ভাতার লোভ থেকে দূরে গিয়ে মানুষকে রুটি-রুজির জন্য লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সবই কোথাও যেন উধাও হয়ে গেল। বাম নেতৃত্বের কথায়, বাংলা ভরসা রাখল ভাতাতে। রাস্তায় নেমে রুটি-রুজির জন্য গলা ফাটানোর সাহস পেল না বাঙালি।
আপাতত সময়ের অপেক্ষা। আবার শূন্য থেকে শুরু করে ঘুরে দাঁড়াবে বামফ্রন্ট না কি শুধু মধ্যবিত্তের বৈঠকখানায় আলোচনার রসদ হয়ে থেকে যাবে ?
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল-https://www.youtube.com/@NagarNama424
ফলো করুন ফেসবুক পেজ-https://www.facebook.com/nagarnamanews