খবররাজ্য

প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

বাম শাসনের শেষ যোদ্ধার জীবনাবসান। প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার সকালে বাবার মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। এদিন প্রাতরাশের পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বুদ্ধদেবের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে চাও খেয়েছিলেন। পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসকরা পৌঁছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিদায় বুদ্ধদেব

এদিন বৃহস্পতিবার সকালে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই বুদ্ধদেবকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। প্রথমে দেহ পৌঁছয় বিধানসভায়। বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিধানসভার বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। শ্রদ্ধা জানান কলকাতার সিপি,রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরপর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের রাজ্য দপ্তরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন মহম্মদ সেলিম,মানিক সরকার,সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যরা। সেখানে পৌঁছেছিলেন কমরেড রবিদা। আলিমুদ্দিন থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান বাম নেতা-কর্মীরা। শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর তা নিয়ে যাওয়া হয় NRS হাসপাতালে। তবে তিলোত্তমার জনপ্লাবনে দশ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় আধঘণ্টা। শববাহী শকেটের উপর চলতে থাকে পুষ্পবৃষ্টি। বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দেহ পৌঁছয় নীলরতন সরকার হাসপাতালের সামনে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী থেকে রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই শোকপ্রকাশ করেছেন। বিনোদন থেকে ক্রীড়া জগতের বিশিষ্টরাও শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন বুদ্ধদেবকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *