পুজোর পর নির্জনে দূরে কোথাও, গন্তব্য হোক লুংচু
পুজোর পর এমনিতেও কেমন সব ফাঁকা ফাঁকা লাগে। একটা অদ্ভুত মনকেমন। ধীর ধীরে আবার সেই একঘেয়ে জীবনে ফিরতে হয়। রোজকার ব্যস্ত শহরে রুটিন মেনে জীবনযাপন। এইসবের মাঝে হাঁফিয়ে উঠলে দিন কয়েক ছুটি নিয়ে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। যেখানে কোনও ভিড় নেই। কোলাহল নেই। এক্ষেত্রে গন্তব্য হোক লুংচু।
উত্তরবঙ্গের এক অফবিট গ্রাম লুংচু। লাভা থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে কোলাখামের গায়ে অবস্থিত কালিম্পঙের এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য, পাইন-ওকের জঙ্গল, নাম না জানা কত রকমের পাহাড়ি ফুল আর পাখি। এই পুরো গ্রামের বাতাসে যেন এক অদ্ভুত নেশা। এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষারাবৃত শৃঙ্গের সৌন্দর্য উপভোগ করুন। তারপর সারাদিন পাইন-ওকের জঙ্গলে অজানা পাখিদের সঙ্গে গল্প জমে উঠুক। এর পাশাপাশি দেখে নিন লুংচু ও তার আশপাশের দর্শনীয় স্থান।
দর্শনীয় স্থান
লুংচু এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি পাইনের জঙ্গলে হারিয়ে যান। পাশাপাশি দেখে নিন কোলাখাম, ছাঙ্গে জলপ্রপাত, লাভা, লোলেগাঁও এবং রিশপ। ইচ্ছেগাঁও, ডোলো পার্ক, আরিতার, রেশিখোলা, মূলখারখা সহ একাধিক জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য স্থান হল পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত ছাঙ্গে ফলস, কোলাখামের সাইলেন্ট ভ্যালি আর নেওড়া ভ্যালি জঙ্গল ক্যাম্প।
যাত্রাপথ
হাওড়া থেকে NJP স্টেশন হয়ে লুংচু পৌঁছানো যায়। এক্ষেত্রে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লুংচু পৌঁছাতে হবে। গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যায়। খরচ হতে পারে ৪০০০-৫০০০ টাকা। কালিম্পং হয়েও যাওয়া যায়। কালিম্পং থেকে লাভা, সেখান থেকে কোলাখাম হয়ে লুংচু পৌঁছানো যাবে।
ঠাঁই
এখানে শহর থেকে বহুদূরে নির্জন পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটানো যাবে। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজন, সান্ধ্যকালীন জলখাবার, রাতের খাবার, ক্যাম্প ফায়ার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। একাধিক হোমস্টে রয়েছে। থাকা খাওয়া নিয়ে জন প্রতি ১৩০০-১৮০০ টাকা খরচ। ডাবল বেড রুম, ফোর বেড রুম সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।