মোকার তাণ্ডবে তছনছ বাংলাদেশ ও মায়ানমার, ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ
রাজ্য তথা আমাদের দেশ রেহাই পেলেও মোকার তাণ্ডবে তছনছ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলবর্তী এলাকা। ২০০ কিমি বেগে তাণ্ডব চালাল এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই দেশেই হাজার হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরছাড়া বহু মানুষ। আবহাওয়াবিদদের মতে, এ যেন ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের স্মৃতিকে ফের চাঙ্গা করে দিয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দর সংলগ্ন উপকূলে ২১০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়। এর জেরে কিয়াউকপিউ, সিতওয়ে, গওয়া সহ একাধিক শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, সেল ফোন টাওয়ার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঝড় থেকে বাঁচতে মায়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলের মঠ, স্কুলগলি সহ একাধিক ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে মানুষজন।

মায়ানমার প্রশাসন সূত্রে খবর, এপর্যন্ত টাচিলেক ও পাইন-লুইন শহরে ভূমিধস ও গাছ পড়ে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্দর এলাকার প্রায় ৪,০০০ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণশিবিরে। তবে একাধিক শিবিরে খাবার ও টয়লেটের সমস্যার বিষয়টিও সামনে আসছে। মোকার হাত থেকে রেহাই পায়নি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও।

মায়ানমারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের একাংশ। কক্সবাজার, মহেশখালি এবং সেন্ট মার্টিন বন্দর সহ একাধিক জায়গা থেকে মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া সহ একাধিক এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি। আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় তীব্রতম ঘূর্ণিঝড় এটি। আপাতত সামগ্রিক পরিস্থিতি সামলে আবার ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার।