খবরবিদেশ

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছাড়লেন হাসিনা

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। রক্তভেজা রাজপথেও জারি বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই গণভবন দখল করেছে উত্তেজিত জনতা। দেশের এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা গণভবন ছেড়েছেন তিনি। সূত্রে খবর, হেলিকপ্টারে করে তাঁকে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।

সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। এই পরিস্থিতিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। ইতিমধ্য়েই সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। জনগণের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনারা আস্থা রাখুন। আসুন একসঙ্গে কাজ করি। এই বিক্ষোভ থেকে বিরত হন।”

জানা গিয়েছে, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ সেনা। সূত্রে খবর, তিনি ভারতে আশ্রয় নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সরাসরি দিল্লি বা কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে পারেন। নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দিলে বাগডোগরা বা আগরতলা বিমানবন্দর হয়েও আসতে পারেন। তবে তাঁর ভারত আসা নিয়ে এপর্যন্ত কোনও নিশ্চিত খবর মেলেনি। হাসিনার ছেলে আমেরিকায় থাকেন। তিনি সেখানেও যেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে সূত্রপাত। বর্তমানে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি- হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। গতকাল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছিল। অশান্তি ঠেকাতে সন্ধ্যায় কার্ফু জারি করা হয়। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই কার্ফু উপেক্ষা করে রাস্তায় নামেন মানুষজন। পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস কোনওকিছুতেই দমানো য়ায়নি আন্দোলনকারীদের। এরইমাঝে হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপর সরাসরি হাসিনার বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা।

জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙেছে বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বর্তমানে এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *