আর মিলবে না জ্বর-গায়ে ব্যথার ওষুধ, নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রীয় সরকারের
জ্বর, মাথা ব্যথা। সামান্য কিছু হলেই আমরা ওষুধ দোকানে ছুটি। ডাক্তার পরামর্শ দিলে ভালো, নাহলে নিজেরাই অজানা ডাক্তারি বিদ্যার গুণে গুচ্ছ গুচ্ছ ওষুধ খেয়ে ফেলি। কেউ কেউ বলে জ্বর হয়েছে তো প্যারাসিটামল খেয়ে নে। কী আর হবে ? তবে এবার থেকে আর মিলবে না রোজকার জীবনের একাধিক প্রয়োজনীয় ওষুধ। সৌজন্যে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নিষিদ্ধ করা হল মোট ১৫৬টি ওষুধ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাফ বার্তা, এই ড্রাগ কম্বিনেশনের ওষুধগুলি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
১৯৪০ সালের কসমেটিক আইনের ২৬এ ধারা অনুযায়ী এই ধরনের ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি ও বিপণন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ব্যথা উপশমকারী প্যারাসিটামল, মাল্টিভিটামিন, অ্যান্টিপ্যারাসাইটিস, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক সহ নানা ধরনের ওষুধ। বলাবাহুল্য এর জেরে ধাক্কা খেতে চলেছে সিপলা, টরেন্ট, সান ফার্মা, আইপিসিএ ল্যাবস সহ বড় ফার্মা কোম্পানিগুলির ওষুধ বিক্রি।
নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রয়েছে একাধিক পেইনকিলার। বাদ পড়েছে ট্রামাডোল,টাউরিন,ক্যাফেইন কম্পোজিশনের নানা ওষুধ। মূলত ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের পরামর্শের ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের মার্চ মাস ও ২০২৩ সালের জুন মাসে শতাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।