মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় গ্রেপ্তার ! শুরু থেকেই বর্ণময় কলকাতার অলিগলিতে বেড়ে ওঠা সাহিলের জীবন
মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিনেতা সাহিল খানকে রবিবার গ্রেপ্তার করল মুম্বই পুলিশ। বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর মুম্বই পুলিশের সাইবার সেলের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) ছত্তিশগড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কিন্তু মনে আছে সাহিল খান কে? মূলত তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন স্টিরিও নেশনের নাচেঙ্গে সারি রাত নামক মিউজিক ভিডিয়ো দিয়ে।
এরপর বলিউড অভিনেতা হিসেবেও বেশ কয়েকটি সিনেমা করেন। অভিনয় করেছেন স্টাইল, এক্সকিউজ মি, আলাদিন সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায়। নজরে আসেন দর্শকদের, তবে অভিনেতা হিসেবে খুব বেশি সাফল্য পাননি।
ছোটো থেকেই শখ ছিল বডি বিল্ডিংয়ের, তাই এরপর মনোনিবেশ করেন ফিটনেসের ওপর।শুরু করেন শরীর চর্চা। ইউটিউবের মাধ্যমে ভিডিও করে ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হন। দ্রুত বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
তবে শুধু শরীর চর্চা নয়, তাঁর রঙিন জীবনযাপনও নজর কেড়েছে নেট দুনিয়ায়। প্রায়শই ইনস্টাগ্রামে সেই সব রঙিন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে থাকেন তিনি। ফিটনেসের পাশাপাশি প্রায়ই দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ান সাহিল।
পরবর্তীতে মুম্বইয়ে জিমও খোলেন সাহিল। এছাড়াও সম্প্রতি মাই ফিটনেস নামক একটি হেলথি ফুডের ব্র্যান্ডও খুলেছেন। এছাড়াও ডিভাইন নিউট্রিশিয়ন, হাঙ্ক ওয়াটার নামক ব্র্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
তবে জানেন সাহিল কিন্তু কলকাতার ছেলে। ৫ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে কলকাতায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে বডি বিল্ডিংয়ের স্বপ্নপূরণ করতে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন।
বহু বিতর্কেও জড়িয়েছেন সাহিল। ২০০৯ সালে জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী আয়েশা শ্রফ ও সাহিল খান যৌথ ভাবে একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলেন, কথিত আছে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের বাইরেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।
২০১৪ সালে তাঁদের সর্ম্পক কুৎসিত আকার ধারণ করে যখন আয়েশা শ্রফ সাহিলের বিরুদ্ধে কোর্টে প্রতারণার একটি মামলা করেন। জবাবে অভিনেতার আইনজীবী আয়েশা ও সাহিলের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি কোর্টে জমা দেন এটা প্রমাণ করতে যে তাঁদের দু’জনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল।