ঠান্ডা লাগা থেকে ওজন কমানো, একাধিক সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী গাজর
শীতকালে আবহাওয়া বদলানোর জেরে নানা ধরনের অসুখ দেখা দেয়। তবে শীতের আশীর্বাদ হল মরশুমি সবজি। আর এই সবজির মধ্যে অন্যতম উপকারী সবজি হল গাজর। এবার দেখে নেওয়া যাক, কী কী সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে গাজর।
গাজরের উপাদান
শর্করা- ১০.৬০ গ্রাম
খনিজ পদার্থ- ১.১০ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৮০.০০ মি. গ্রাম
ফসফরাস- ৫৩০.০০ মি. গ্রাম
আয়রন- ২.২০ মি. গ্রাম
ক্যারোটিন- ১৮৯০.০০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন B ১ – ০.০৪ মি. গ্রাম
ভিটামিন C – ৩.০০ গ্রাম
গাজরের উপকারিতা
ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতকালে ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি লেগে থাকে। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এক্ষেত্রে কাজে দেয় গাজর। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন থাকে। থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসও। এর জেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
গাজরের অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান
গাজরের মধ্যে ক্যারোটেনয়ডস (carotenoids), ফেনোলিকস (phenolics), পলিঅ্যাসেটিলেনেস (polyacetylenes) ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (ascorbic acid) থাকে। এগুলি টিউমার ও ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
গাজরে প্রচুর ভিটামিন C থাকে। যা শরীরে কোলাজেন তৈরির মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরে কোথাও ক্ষত তৈরি হলে, তা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
গাজর খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরতি থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই ক্যালোরির পরিমাণ খুব একটা বেশি থাকে না। এর জেরে ওজন কমে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
গাজর খেলে ব্যাড কোলেস্টেরল কমে যায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বক ভালো রাখে
গাজরে থাকা বেটা ক্যারোটিন ভিটামিন A -এর উৎস। এতে ত্বকের কোষগুলি নিয়মিত প্রতিস্থাপিত হয়। তাই ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে সাহায্য করে গাজর। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
গর্ভাবস্থায় গাজর
গর্ভাবস্থায় গাজরের রস খুবই উপকারী। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে।