তীব্র গরমে শরীরে বাড়ছে রোগভোগ, কীভাবে বাঁচবেন?
এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দহন জ্বালায় জেরবার আট থেকে আশি। একদিকে যেমন হাঁসফাঁস অবস্থা, তেমনই অনেক বাড়িতেই নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। গরমের দাপাদাপি শুরু হলেই আমাদের শরীরে নানা রকম অস্বস্তি শুরু হয়। একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে অনেক মানুষই। অনেকে বারবার স্নান করে নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করেন তো অনেকে দিনভর ঠান্ডা ঘরে আবদ্ধ রাখেন নিজেকে। কিন্তু এগুলো হয়তো সাময়িক স্বস্তি দেয়। গরমে শারীরিক সমস্যাগুলি কোন কোন কারণে হচ্ছে এবং কী উপায় কাজে লাগালে এই সমস্যাগুলোর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
দিনভর ক্লান্তিভাব
শরীরের মেলাটনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয় গ্রীষ্মের দাবদাহ। মেলাটনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি, তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন আর সেটা করতে যথেষ্ট পরিশ্রমও হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই বাইরে বেরোলে ছাতা নিয়ে বেরোবেন, চোখে সানগ্লাস রাখবেন।
রাতভর ঘুম নেই
চিকিৎসকদের কথায়, শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদন কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। বাতানুকূল যন্ত্র তো আর সকলের বাড়িতে থাকে না। তাই অনেক সময় রাতে ঘুম আসতে দেরি হয় কিংবা সেভাবে গাঢ় ঘুম আসে না। একটা উপায় কাজে লাগতে পারে। ঘুমের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য গ্যাজেট সঙ্গে রাখবেন না।
ডিহাইড্রেশন
গরমে শরীরে নুনের ভারসাম্য রাখতে ঘাম হওয়া ভালো। কিন্তু অত্যাধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও যেমন হয়, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিমাণে জল পান করা। কাজ সেরে বাড়ি ফিরে লেবু কিংবা বেলের সরবত বা ফ্রেশ ডাবের জল খেতে পারেন। তবে খুব বাড়াবাড়ি হলে ইলেকট্রোলাইট মিশ্রণ কিংবা ওআরএস খেতে হবে।
এসি-তে থাকার অভ্যাস ?
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা অভ্যাস যাদের, তাদের শরীর চট করে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাতেই জ্বর, ঠান্ডা লাগা, মাথা ধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই বাইরে বেরনোর ১০-১৫ মিনিট আগে ঘরের এসি বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর বাইরে বেরোতে হবে।