রোজনামচাসুস্থ থাকুন

ত্বকের যত্নে অপরিহার্য গোলাপ জল, রইল খুঁটিনাটি

রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার শতাব্দী প্রাচীন। শোনা যায়, প্রাচীন ইরানে প্রথম তৈরি হয় গোলাপ জল। ঔষধি হিসাবে ও খাবারের সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহার করত তারা। ত্বক এবং চুলের যত্নের জন্য গোলাপ জলের ব্যবহার শেখায় প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা। তারপর একে একে সারা পৃথিবীতে রূপচর্চায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই উপাদান। জানা যায়, স্বয়ং ক্লিওপেট্রার রূপচর্চাতে নাকি থাকত এই উপাদান!

ত্বকের ক্লান্তিভাব দূর করা থেকে শুরু করে জেল্লা ফিরিয়ে আনা। গোলাপ জলের উপকারিতা অনেক। জেনে নিন বিশদে –

১. সারাদিনের খাটা খাটনির পর মুখে যদি একটু গোলাপ জল ছিটিয়ে নেওয়া যায় তাহলে ক্লান্তিভাব দূর হয়, ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আসে। এছাড়াও, গোলাপ জলের সুগন্ধ মনকেও করে তোলে তরতাজা।

২. ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করে। সকালে মুখ পরিষ্কার করে ফেস টোনার হিসাবে ব্যবহার করলে সারাদিন ত্বক থাকে হাইড্রেটেড।

৩. আপনার ত্বক কি কোনো কোনো সময় খুব শুষ্ক আর কিছু সময় খুবই তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে? এগুলি কিন্তু ত্বকে পিএইচ এর ভারসাম্যের অভাবে হয়ে থাকে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। ফেসওয়াশের পর টোনার হিসেবে রোজ মুখে লাগান গোলাপ জল। ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় থাকবে ও ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

৪. ফেস ওয়াশ করলেও অনেক সময় ত্বকের সমস্ত ময়লা ওঠে না। গোলাপ জলে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত ধুলো ময়লা তুলে ফেলে। যেকারনে গোলাপ জলকে মেক আপ তুলতেও ব্যবহার করেন অনেকে।

৫. গোলাপ জল ত্বককে রিফ্রেশ করে। প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়।ত্বকে ফোলা ভাব ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে ঠান্ডা করে।

৬. রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনে গোলাপ জল। গোলাপ জল দিয়ে প্যাক গুলে ট্যান তুলতে ব্যবহার করতে পারেন।

৭. অনেকেরই চোখের নিচে ফোলা ভাব দেখা যায় ও ডার্ক সার্কেল পড়ে যায়। এক্ষেত্রে একটি কটন প্যাডে গোলাপ জল দিয়ে চোখের উপর কিছুক্ষন রাখলে এই সব সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।

৮. ওপেন পোরস কমাতে সাহায্য করে এই গোলাপ জল। ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও টানটান।

৯. গোলাপ জলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিক্যালস এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যার ফলে অকাল বার্ধক্য আসে না। এছাড়াও এটি ত্বকে বলিরেখা কমাতে ও কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।

১০. গোলাপ জলে ফিনাইল ইথাইল অ্যালকোহল এবং ট্যানিন এর মতো অ্যাস্ট্রিংজেন্ট রয়েছে। যেগুলি ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে, যার ব্রণর বিকাশ কমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *