নিম্ন-মধ্যবিত্তের রোজনামচা থেকে হারিয়ে যাওয়া একান্নবর্তী পরিবার, একনজরে এবারের সেরা প্রতিমা

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। পুজো শুরু। আলোয়, আনন্দে, উৎসবে মেতে উঠেছে তিলোত্তমা। আর এর সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো পরিক্রমা। সকাল-সন্ধ্যা জারি প্যান্ডেল হপিং। কোথাও নজর কাড়ছে মায়ের মূর্তি, আলোকসজ্জা কোথাও আবার মণ্ডপ। তবে কয়েকটি পুজো মণ্ডপে না ঢুকলে এবারের ঠাকুর দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। এবারের নগরনামার পুজো পরিক্রমায় রইল সেই সেরা প্রতিমার তালিকা। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

কাশী বোস লেন

থ্রি ডাইমেনশনাল প্যান্ডেল। তবে সাবেকি ছোঁয়া রেখেই গড়ে তোলা হয়েছে মূর্তি। মা আর মাটির টানকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেবী প্রতিমার মধ্যে। প্রতিমাগুলিতে রঙের আঁচড় আর সামগ্রিক মণ্ডপ একজন মায়ের নানা ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেবে।

নলিন সরকার স্ট্রিট

এবারের থিম গর্ভধারিনী। মা ও প্রকৃতির মেলবন্ধনে সমগ্র ভাবনা শিল্পরূপ পেয়েছে। মায়ের আগলে রাখা, প্রকৃতির সৃজন-পালন ক্ষমতা সব যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। দেবী মায়ের মূর্তিতেও সেই ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

৬৬ পল্লী

এবারের ভাবনা একটু অন্যরকম। প্রায় হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা। চেষ্টা একান্নবর্তী পরিবারের ছাদ ফিরিয়ে আনার। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি কনসেপ্টের কারসাজিতে হারিয়ে গেছে ভাই-বোনদের খুনসুটি। দাদু-ঠাকুমা, জেঠু জেঠিমাদের গল্প শোনানো, দুষ্টমি করলে শাসন করা; সবই স্থান পেয়েছে স্মৃতিচারণে। ৬৬ পল্লীর দেবী মূর্তিতে সেই ভাবনাই ফুটে উঠেছে।

ন-পাড়া দাদা ভাই সংঘ

একটু অন্যরকম চেষ্টা। এখানে যৌন কর্মীদের সামাজিক জীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে তাদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে সিলিকনের দুর্গা প্রতিমা যেন জীবন্ত। তেমনই সুন্দর কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও গণেশ। উমা এখানে একেবারে ঘরের মেয়ে।

হাতিবাগান নবীন পল্লী

এবারের থিম ফেলনা। শিবু ও উমার চরিত্রের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের রোজকার সংগ্রামের কথা। ছোটো দোকান আর জিনিস ফেরি করে দিন গুজরান হয় এই পরিবারের। উমা ব্য়বসার পাশাপাশি ছেলে-পুলেদেরও সামলায়। মায়ের মূর্তিতে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা রয়েছে এখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.