এবার পুজোয় পদ্ম নিয়ে থাকছে অনিশ্চয়তা
হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। শিউলির গন্ধে, কাশের দোলায় সেজে উঠেছে শরৎ। শুধু মায়ের আসা বাকি। আর বাপের বাড়িতে মেয়ের আদর-আপ্যায়নে যাতে কোনওরকম ত্রুটি না থাকে, তা নিয়ে বরাবর খুঁতখুঁতে আর সদা তৎপর পুজো কর্তারা। তা সে থিমের পুজো হোক বা সাবেকি। আর সেই সূত্রেই উঠে আসে পুজোর এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পদ্মের কথা। পদ্মফুল। দুর্গাপুজোর সময় প্রতিবছর পদ্ম নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। তবে এবার পদ্মের বাজারের কী অবস্থা ?
ষষ্ঠী থেকে দশমী পুজোর প্রতিটি দিন বাদেও সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্ম অত্যন্ত জরুরি। এনিয়ে পুরাণেও বিস্তর তথ্য রয়েছে। পুরাণ মতে, অষ্ঠমী ও নবমী তিথির মিলন ক্ষণে সন্ধিপুজো হয় ৷ কৃত্তিবাসী রামায়ণে রয়েছে রাবণকে বধ ও আশ্বিন মাসে রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কাহিনী। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই দেবীর পায়ে ১০৮টি পদ্ম দেওয়ার রীতির উল্লেখ রয়েছে। তাই পুজোর আগে থেকে পদ্মের জোগাড় ও মজুত করা নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। বলাবাহুল্য়, এই সময় পদ্মের চাহিদাও তুঙ্গে।
এবারে উৎপাদন ও বাজার মোটামুটি ঠিক থাকলেও, একটা অনিশ্চয়তা। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা, বৃষ্টির অভাবে পদ্মের উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পদ্মচাষিদের কথায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে পদ্মের জোগানে একটু বেশি টান ৷ তাই বাড়ছে দামও। কারণ এবছর বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কম। তাই জল না থাকায় তেমন চাষ হয়নি। মালদা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর সহ নানা জেলায় একই দশা।
পূর্ব মেদিনীপুরের ফুল ব্যবসায়ীদের কথায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জোগান কম৷ এক্ষেত্রে প্রতি পদ্মের দাম এখন থেকেই গড়ে ১৫-২০ টাকা ৷ যা কয়েকদিনে বেড়ে ৩০-৪০ টাকা হবে। ভিন রাজ্যেও পদ্ম যাচ্ছে। হিমঘরে মজুত করা হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদনই কম, তাই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হবে। আপাতত পদ্ম নিয়ে অনিশ্চয়তার ভিড়েই পুজোর অপেক্ষা।