পাহাড়ী নদীর সঙ্গে জমে উঠুক গল্প, গন্তব্য় হোক রিলিং

ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি, আচমকা কালবৈশাখী কিংবা বৃষ্টি হলেও একটা অস্বস্তিকর আবহাওয়া যেন পিছু ছাড়ছে না। এর মাঝেই অফিস, রোজকার ব্য়স্ততা। উইকেন্ডের লম্বা প্ল্য়ানিংয়ের মাঝে শহর যেন কোথাও একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। যদি এরকম মনে হয়, তাহলে বেশি ভেবে লাভ নেই। পাহাড়ী নদী হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সুযোগ বুঝে ঘুরে আসতে পারেন রিলিং।

দার্জিলিং জেলার পূর্বে টাইগার হিল থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম। এর উচ্চতা ২৫ ফুট। মূলত নেপালী ভাষা মানুষজনের বাস। গাঁয়ের বুক দিয়ে বয়ে চলেছে রঙ্গিত নদী। রঙ্গিতের কলকল শব্দে আর পাখিদের ডাকে সকাল শুরু হোক। নদীর নিস্তব্ধতায় নামুক রাত। রঙ্গিতের মায়া কাটিয়ে উঠতে পারলে গাড়ি নিয়ে গ্ৰামের নানা এলাকা ঘুরে দেখা যেতে পারে। আশপাশে মেরিবং, চংটং সহ একাধিক ছোটো-বড় চায়ের বাগানের পাশাপাশি আপেল ও কমলালেবুর বাগানও রয়েছে। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নেশা থেকে বেরোনো সত্যিই অসম্ভব।

এছাড়াও আশপাশে একাধিক জায়গা রয়েছে। সিঙ্গলীলায় ট্রেকিং করা যেতে পারে। কাছাকাছি দার্জিলিং, ঘুম, কার্শিয়াংও ঘুরে আসা যায়। কাছেই রয়েছে বাতাসিয়া লুপ, জাপানিজ টেম্পল, জু। একদিনের মধ্য়েই এই জায়গাগুলি দেখে নিতে পারেন। এককথায়, শহরের কোলাহল থেকে দূরে কোথাও হারাতে ছোট্ট গ্রাম রিলিংয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিন।

যাত্রাপথ

আপনি যদি কলকাতা থেকে রওনা দিতে চান, তাহলে শিয়ালদা থেকে পাড়ি দিন এন.জে.পি স্টেশনের উদ্দেশে। এন.জে.পি-শিলিগুড়ি থেকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে গাড়ি ভাড়া করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য খরচ ৪০০০-৪,৫০০ টাকা।

ঠাঁই

মাথাগোঁজার জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে। রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার পর্যাপ্ত ব্য়বস্থা। এখানকার রিভার রিসর্টের আথিথেয়তা মন্দ নয়। নদীর আশপাশের রুমের জন্য খরচ হতে পারে ১৮০০ – ২০০০ টাকা। নন-রিভার সাইটের জন্য় খরচ হতে পারে ১৫০০-১৬০০ টাকা। লনে সময় কাটানোর পাশাপাশি বনফায়ারও উপভোগ করতে পারেন। কয়েকটা দিন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। পাহাড়ী নদীর সঙ্গে জমে উঠুক গল্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published.