পড়ন্ত বিকেলে বাগদার বুকে

একঘেয়ে জীবন থেকে একটু ছুটি চান। তাহলে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিতে পারেন বাগদার উদ্দেশে। ওড়িশার বালাসোর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের এই সমুদ্রতটে এক অদ্ভুত শান্তি খুঁজে পাবেন আপনি। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্তে ঘিরে ধরবে একগাদা মনকেমন। আবার মুহূর্তেই সব ভুলিয়ে দেবে সন্ধ্যার ক্যাম্প ফায়ার। তাই সুযোগ পেলে দিন তিন-চারেকের ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

এখানকার মূল আকর্ষণ বাগদা বিচ ক্যাম্পিং। যারা একটু অন্যরকম স্বাদ নিতে চান, একটা রাত ক্যাম্প, বনফায়ার আর ঝাউয়ের জঙ্গলে কাটাতে চান, তাদের জন্য সেরা গন্তব্য বাগদা। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এখানে তেমন ভিড় নেই। শহরের ব্যস্ততা নেই। নির্জন সমুদ্র, সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের পাশাপাশি আশপাশের জায়গাগুলিও ঘুরে দেখা যেতে পারে। এখানে স্বপ্নেশ্বর মহাদেব মন্দির সহ একাধিক প্রাচীন মন্দির রয়েছে। সর্ববৃহৎ মহাবীরের মূর্তি রয়েছে। নজর কাড়বে বহবলপুর শিব মন্দির, পঞ্চ লিঙ্গেশ্বর, ডুবলাগাডি মন্দির। এই সমস্তকিছুর পাশাপাশি সময় করে বাগদা মার্কেট অর্থাৎ বাগদার বাজার এলাকাটা ঘুরে আসা যেতে পারে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করা যেতে পারে। স্মৃতি হিসেবে বাজার থেকে কিছু কিনে সঙ্গে রেখে দিতে পারেন।

যাত্রাপথ

ট্রেনে বা বাসে করে হাওড়া থেকে বালাসোর পৌঁছাতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। এবার বালাসোর থেকে অটো নিয়ে বাগদা বিচ ক্যাম্পিংয়ের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। বালাসোর আর বাগদা বিচ ক্যাম্পিংয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। অটোয় জন প্রতি ৬০ টাকা ভাড়া লাগে। রিজার্ভ হলে ৫৫০-৬৫০ টাকার মধ্যে।

ঠাঁই

বিচ ক্যাম্পফায়ার সহ একজনের খাওয়া-থাকার প্রতিদিনের খরচ ১৩০০ টাকা। পানীয় জলের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। খাওয়া-দাওয়াও ঠিকঠাক। শুরুতেই লেবুর জলে স্বাগত জানানো হয়। দুপুরে মাছ, ভাত, সবজির তরকারি। সন্ধ্যায় চা, পকোড়া, স্ন্যাক্স। রাতে ভাত, রুটি, সবজির তরকারি ও মাংস। সকালের খাবার রয়েছে লুচি, তরকারি, ডিম সিদ্ধ চা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.