১০০০ দিনের বেশি সময় পর বিরাট প্রত্যাবর্তন
অতিক্রান্ত সহস্র দিন। বহু আলোচনা, সমালোচনা, কটাক্ষ। কখনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং পোস্ট। নানা কারণে বিদ্ধ হয়েছেন বাইশ গজের রাজা। শেষমেশ সেই অপেক্ষার অবসান। চেনা ছন্দে ফিরলেন কিং কোহলি। রানের খরা কেটে ব্যাটে এল বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি।
মাঝে কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। বারবার বিশ্রামে যেতে হয়েছে। মাঠে নেমেও কাঙ্খিত সাফল্য না পেয়ে ফিরতে হয়েছে বারবার। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর। শেষবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেনে করেছিলেন আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। এরপর আর ব্যাটে সেঞ্চুরির গন্ধ মেলেনি। তেমন কোনও স্মরণীয় ইনিংসও নেই। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন এবার বোধহয় ফুরিয়ে যেতে বসেছে কোহলি নামের সেই আগুন। এমনকি এমন দাপুটে খেলোয়াড় অকপটে নিজেই স্বীকার করেছেন তার মানসিক পরিস্থিতির কথা।
শেষমেশ সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। ১০০০ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে ঘটল বিরাট প্রত্যাবর্তন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এল ক্যারিয়ারের ৭১ তম শতরান। ৬১ বলে অপরাজিত ১২২ রানের সুবাদে কোহলি ছুঁয়ে ফেললেন পন্টিংয়ের রেকর্ডকে। সামনে শুধু মাস্টার ব্লাস্টার। বলাবাহুল্য, এশিয়া কাপের শুরু থেকেই অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল কোহলিকে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫ রান করেছিলেন। হংকংয়ের বিরুদ্ধে নট আউট ৫৯ রান। এরপর সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে দল হারলেও বিরাটের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬০ রান। তবে ক্রিকেট বিশ্ব অন্য় কিছুর অপেক্ষায় ছিল। এবার সেটাই হল। শেষমেশ শতরান করলেন কিং কোহলি।