থাইরয়েডে ভুগছেন, খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই সাতটি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
থাইরয়েডের সমস্যা। বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষের মধ্যে আজকাল এই সমস্যা দেখা যায়। যা থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক ক্রিয়া নষ্ট করে দেয়। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এটি চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি থেকে শুরু করে ত্বকেরও ক্ষতি করে। থাইরয়েড গ্রন্থি মূলত Triiodothyronine (T3) ও Thyroxine (T4) নামে দুটি হরমোন নিঃস্বরণ করে। যা আমাদের মেটাবলিজম, ঘুম, ওজন থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আর এই নিঃস্বরণে গড়বড় হলেই একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তাই থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে –
সামুদ্রিক শৈবাল
থাইরয়েড রোগীদের জন্য সামুদ্রিক শৈবাল অত্যন্ত উপকারী। এতে আয়োডিনের পাশাপাশি প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ও রাইবোফ্ল্যাবিন থাকে। থাইরয়েডের তারতম্য ঘটলে অনেক সময় উদ্বিগ্নতা, অবসাদ দেখা দেয়। এটি অবসসাদ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী।
পনির
পনিরে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি হেল্থি ফ্যাট ও আয়োডিন রয়েছে। তাই থাইরয়েড রোগীরা পনির খেতে পারেন।
দুধ
ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২৫ ০ ml দুধে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন থাকে।

টুনা ফিস
টুনা ফিসে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে। এই সামুদ্রিক মাছও থাইরয়েড রোগীদের ডায়েটে রাখা যেতে পারে।

সার্ডিন মাছ
এটি লো-ক্যালোরি সম্পন্ন। তবে আয়োডিন সমৃদ্ধ। এতে পলি আন-স্যাচুরেটেড ও মনো আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। থাইরয়েডের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী এটি।
ডিম
আয়োডিনের অন্যতম উৎস হল ডিম। একটি বড় ও যথাযথ আকারের ডিমে ২৪ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত আয়োডিন থাকে। তাই ডায়েটে ডিম রাখা যেতে পারে।

চিংড়ি
অন্যান্য সি-ফুডের মতো চিংড়িও সমুদ্রের নোনা জল থেকে আয়োডিন সংগ্রহ করে। চিংড়িতে উপস্থিত পলি-আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত কার্যকরী। তাই ডায়েটে চিংড়ি যুক্ত করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, থাইরয়েড অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। তাই অতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণ করলে আবার উল্টো বিপদ হতে পারে। কোনওকিছু খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।